দাখিল দশম শ্রেণির অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর পত্র (কুরআন মাজীদ)

 



এসাইনমেন্ট শিরোনাম: মানব জাতির হেদায়াতে আল

কুরআন


(ক) আয়াতের ব্যাখ্যাসহ অনুবাদ ও শানে নুযুল:

আয়াতের ব্যাখ্যাসহ অনুবাদ: ১. আলিফ-লাম-মীম এগুলোকে হরুফে মুকাত্তায়াত বলে। যার অর্থ আল্লাহই ভালো জানেন।

২. আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারে কোন ইলাহ ( উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব তাঁর মৃত্যু ও ধ্বংস নেই) ও চিরস্থায়ী (সংরক্ষণকারী এবং পর্যবেক্ষক)

৩. আল্লাহ আমাদের উপর কিতাব নাযিল করেছেন যথাযথভাবে সত্য সহকারে, এর পূর্বে যা এসেছে তার সত্যায়নকারী হিসেবে (যা পূর্বতন কিতাবের সমর্থক এবং নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইঞ্জিল।

৪ ইতোপূর্বে পূর্বে নবীদের উপর যে কিতাবসমূহ নাযিল হয়েছে, মানুষের হেদায়েত স্বরূপ(পথ প্রদর্শনের জন্য) আর তিনি ফোরকান ন্যায়-অন্যায়ের মীমাংসাকারী, পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর আয়াতসমূহে কুফরী এটাকে সত্য বলে বিশ্বাস না করলে আল্লাহর নিকট কেউ মুসলিম ও মুমিন হতে পারবে না  তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

৫. নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর নিকট গোপন থাকে না কোন কিছু জমিন এবং আসমানে। (নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ভূমন্ডল এবং নভোমন্ডলে কোন কিছুই লুকায়িত থাকে না)

*শানে নুযুল: মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক রদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত যে, অত্র সূরাটির প্রথম হতে মোবাহালা পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সাথে খ্রিস্টান প্রতিনিধিদলের বিতর্ক এবং অহেতুক বাদানুবাদের উত্তরে অবতীর্ণ হয়েছে। রোম সম্রাট ইসলামের অগ্রগতি রোধকল্পে ঘাট সদস্যের একটি রাজধানী খ্রিস্টান দল মদিনায় পাঠায়। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অহেতুক নানান প্রশ্ন করে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার যথাযথ উত্তর দেন। একপর্যায়ে তারা বলে, ঈসা আলাইহিস সালাম যদি আল্লাহর পুত্র না হবেন তাহলে তার জন্মদাতা কে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাদের এ হেন বাজে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ওহীর অপেক্ষায় থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হয়।

(খ) প্রধান আসমানী কিতাব সমূহের পরিচয়ও মানবজাতির হেদায়েতে আল কোরআন:

আসমানী কিতাব ও নবীদের নাম:

১. তাওরাত, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম

২. যাবুর, হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম

৩. ইনজিল, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম

৪. পবিত্র কুরআন, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

* কিতাব সমূহের পরিচয়:

তাওরাত: ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আল-কোরআন এর মতে, তাওরাত হচ্ছে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর প্রতি অবতীর্ণ সর্বপ্রথম  প্রধান আসমানী কিতাব।

যাবুর: ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আল কুরআনের মতে যাবুর হচ্ছে দ্বিতীয় আসমানী কিতাব। বৃহত্তম কিতাব জাহাজের দাউদ আলাই সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয়।

ইনজিল: ইসলাম ধর্মীয়  বিশ্বাস এবং কুরআনের মতে হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল।

পবিত্র কুরআন: 

কোরআন হলো ইসলামের কেন্দ্রীয় ধর্মীয় পাঠ্যপস্তক এবং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব, যা স্বয়ং আল্লাহর নিকট হতে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে।

*মানবজাতির হেদায়াতে আল কোরআন:

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য একমাত্র নির্দেশনা ও অন্যতম মোজেজা হলো al-quran। যে সাতটি বিষয়ের উপর ঈমান আনা হলো বিশ্বাসের মূল্য বৃদ্ধি তার মধ্যে শুধু মত্র আল-কুরআনকে আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি। এছাড়া বাকি বিষয়সমূহ না দেখেই ঈমান আনতে হয়। আল্লাহ রব্বুল আলামীন কুরআনে যাবতীয় নির্দেশনা পাঠিয়েছেন মানবজাতির জন্য। কুরআন শরীফ অবতীর্ণ হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উপর এবং তিনি মানুষের জন্য সহজ করে কুরআনের বাস্তব প্রতিফলন তার জীবনে দেখিয়েছেন, কুরআনকে বলা হয়েছে দিন অর্থাৎ জীবন বিধান। সত্যমিথ্যা পার্থক্যকারী এবং সফলতার মানদন্ড।

























একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ